শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
মিডিয়া ডেস্কঃ নিজের একমাত্র কলিজার টুকরোর মাত্র আড়াই মাস বয়সে যে বাবা হারিয়ে গেছেন চিরতরে, সেই বাবার ৩৫ তম জন্মদিন ছিলো শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)। রায়হানকন্যা আলফার বয়স এখন ৬ মাস। তার জীবনে প্রথমবার আসলো জন্মদাতার জন্মদিন, কিন্তু এমন দিনে জন্মদাতার আদর-সোহাগ থেকে বঞ্চিত সে। কয়েক মাস আগের একটি কালো রাত আলফার কাছ থেকে কেড়ে নেয় তার জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন বাবাকে।
সিলেট আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদের ৩৫ তম জন্মদিন ছিলো শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)। মাত্র সাড়ে ৪ মাস আগেও এক বিকেলে একমাত্র শিশুকন্যা আলফাকে আদর করে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন রায়হান। সেদিন ঘুণাক্ষরেও তিনি বুঝতে পারেননি, আলফাকে এই তার শেষ কোলে নেয়া। জীবনসঙ্গী তাহমিনা আক্তার তান্নির সঙ্গে এই তার শেষ কথা বলা।
সেদিন আর বাড়ি ফিরতে পারেননি রায়হান। তার জন্যে অপেক্ষা করছিলো আকবর নামের এক ‘যমদূত’। ওই কালোরাতেই আকবর আর তার সহযোগিরা রায়হানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ঠেলে দেয় পরপারের দোরগোড়ায়। মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতনের ফলে অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে রায়হান কয়েকঘণ্টা পর ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
পুরো দেশের মানুষের চোখের জল ঝরেছিলো যে রায়হানের জন্য, সেই রায়হানের ৩৫তম জন্মদিন ছিলো শুক্রবার। কিন্তু এই আনন্দের দিনে রায়হানকে কাছে পায়নি তার সন্তান আলফা। এই বিষাদের দিনে কেমন আছে আলফা? মনের কষ্টভরা অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষমতা হয়তো আজ আলফার নেই। কিন্তু এমন আনন্দের দিনে ভালো নেই রায়হানের মা, স্ত্রী, ভাই ও প্রবাসী বোনসহ ঘনিষ্টজনরা।
রায়হানের ৩৫ জন্মদিনে তার খালাতো ভাই রাব্বি আহমেদ তানভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন এক আবেঘন স্ট্যাটাস। এতে তিনি লেখেন- ‘আজ রায়হান ভাইয়ের জন্মদিন। নতুন বছর এসেছে, নতুন জন্মদিন এসেছে কিন্তু ফিরে আসেনি ২০২০ সালে পুলিশের পোষাক পরা কিছু অমানুষের হাতে নিহত আমাদের ভাই রায়হান। আলফা জন্মের পর তার বাবার প্রথম জন্মদিনের দেখা পেলেও পায় নি তার বাবাকে। আজ ভাইয়ার জন্মদিনে হয়তো রায়হান ভাই বেঁচে থাকলে একমাত্র মেয়ে আলফাকে আদর করে কাছে টেনে নিয়ে অনেক আনন্দ করতেন। কিন্তু আলফার সেই আনন্দকে আজ বেদনায় রূপান্তরিত করে দিয়েছে মানুষরূপি কিছু…।
ছেলেকে ছাড়া মায়ের, ভাইকে ছাড়া লন্ডন থেকে আসা একমাত্র বড় বোনের, স্বামী ছাড়া স্ত্রীর, সর্বোপরি রায়হান ভাইকে ছাড়া এই পরিবারের ভাইয়ের জন্মদিন- এটা যে কতটা কষ্টের সেটা সেই পরিবারের সদস্যরাই ভালো জানেন।
ভাইয়ার জন্মদিনে সবার কাছে একটাই চাওয়া আমাদের ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ যেনো উনাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। আর সে সকল মানুষ রুপি জানুয়ারদের যাতে অতিদ্রুত ফাঁসি হয়, আলফা যেনো বড় হয়ে বলতে পারে তার বাবার হত্যাকারীদের এই বাংলার জমিনে বিচার হয়েছে।
আমরা চাই না আর কোনো রায়হান এভাবে হারিয়ে যাক। আর কোনো আলফা এতিম হোক। আর কোনো মাকে যেনো সন্তান হারানোর ব্যথায় চিৎকার করে কান্না করতে না হয়। সন্তান হত্যার বিচারের জন্য রাস্তায় বসে থাকতে না হয় । আর কোনো স্ত্রীকে যেনো অল্প বয়সে বিধবা হতে না হয়।’
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাতে নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তাকে ধরে নিয়ে এসে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে রায়হানকে ‘ছিনতাইকারী’ সাজানোর চেষ্টা করলেও পরিবারের দাবি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও আন্দোলনের মুখে সে দাবি থেকে পুলিশ সরে আসে ।
গত ১১ অক্টোবর (১০ অক্টোবর দিবাগত) মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। ১১ অক্টোবর ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১২ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
মামলায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার উল্লেখ করেন, প্রতিদিনের মতো ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে তার স্বামী রায়হান আহমদ নিজ কর্মস্থল নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটস্থ ডা. গোলাম কিবরিয়া ও ডা. শান্তা রাণীর চেম্বারে যান। পরদিন (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে ০১৭৮৩-৫৬১১১১ মোবাইল ফোন নম্বর থেকে শ্বাশুড়ি (রায়হানের মা সালমা বেগম)-এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর (০১৭৮৭৫৭০৯৪৯)-এ কল দিলে সেটি রিসিভ করেন রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ।
এসময় রায়হান আর্তনাদ করে বলেন, তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছেন। তাকে বাঁচাতে দ্রুত ১০ হাজার টাকা নিয়ে বন্দর ফাঁড়িতে যেতে বলেন রায়হান। এ কথা শুনে রায়হানের চাচা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রায়হান কোথায় জানতে চাইলে দায়ত্বিরত একজন পুলিশ বলেন, সে ঘুমিয়ে গেছে। আর যে পুলিশ রায়হানকে ধরে নিয়ে এসেছেন তিনিও চলে গেছেন। এসময় হাবিবুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁড়িতে আসার কথা বলেন ওই পুলিশ সদস্য।
পুলিশের কথামতো হাববিুল্লাহ আবারও সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ফাঁড়িতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ জানান, রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে রায়হানের চাচা ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রায়হানকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। এসময় হাবিবুল্লাহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে খবর দিলে তারা গিয়ে ওসমানীর মর্গে রায়হানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পান।
১২ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ রায়হানের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বাদ এশা আখালিয়া জামে মসজিদের পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে রায়হানের লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে, ১২ অক্টোবর সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের তত্ত্বাবধানে মহানগর পুলিশের তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। ওই দিনই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক ছিলেন। তার পালানোতে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির আরেক এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
১৪ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। এর আগে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেন মামলার (সাবেক) তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আবদুল বাতেন। পরে ১৫ অক্টোবর পিবিআই সিলেটের আখালিয়া নবাবি মসজিদ কবরস্থান থেকে রায়হানের মরদেহ উত্তোলন কাজ শেষ করে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়।
তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।
নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাত লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
২০ অক্টোবর দুপুরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে ও ২৩ অক্টোবর কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে গ্রেফতারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রোববার (২৫ অক্টোবর) কনস্টেবল টিটুকে ফের তিনদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
পিবিআই এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন উর রশিদকে দুই দফায় আটদিন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে তারা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি।
এছাড়া রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী সাইদুর শেখ নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, ঘটনার ২৮ দিন পর ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। বিকেল ৫টা ৫৩ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে কানাইঘাট থেকে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরদিন আকবর হোসেন ভূঁইয়ার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় এসআই আকবরকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন। শুনানি শেষে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, রায়হানের মৃত্যুর পর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে ‘বৃহত্তর আখালিয়া বারো হামছা সংগ্রাম পরিষদ’র ব্যানারে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। রায়হানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলন চালিয়ে যান।
বিগত এক মাসে ‘বৃহত্তর আখালিয়া বারো হামছা সংগ্রাম পরিষদ’র তত্বাবধানে একটি সংবাদ সম্মেলনসহ মিছিল, সভা, সড়ক অবরোধ এবং মানবববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করেছে রায়হানের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয়রা।
রায়হান আহমদ হত্যা মামলার তদন্তে সর্বশেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আরও ৩০ কার্য দিবস সময় দিয়েছেন আদালত। রায়হান হত্যা মামলার তদন্তের জন্যে সময় বর্ধিত করার জন্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মুমিনের আদালতে আবেদন করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ৩০ কার্য দিবস বর্ধিত করেন। এই সময়ের মধ্যেই রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিতে হবে।
এদিকে, রায়হান হত্যার আলামত হার্ডডিস্ক নষ্ট করার মূলহোতা এসআই হাসান আলীকে গ্রেফতার করা হলেও সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের কোন খোঁজ এখনো মিলেনি। এই দু’জন মিলেই আলামত নষ্ট করে বলে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে আসে। সাংবাদিক নোমানকে আভিযোগপত্রে আসামি করা হবে কি-না তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, রায়হান হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পিবিআই সিলেট’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদ উজ্জামান বলেন, মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। বর্ধিত ৩০ দিনের মধ্যেই অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তবে, কবে দেয়া হবে তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ত্রুটিমুক্ত অভিযোগপত্র দিতে পিবিআই কাজ করছে।
তথ্যসূত্রঃ সিলেট ভিউ ২৪