বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১, ১১:২০ অপরাহ্ন
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ছোটদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। রহিমা আক্তার (৭০) ও সুফিয়া বেগমসহ (৬০) আহত ৬ জনকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকিদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দোকানঘরসহ বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতংক বিরাজ করছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সেলবরষ মাইজবাড়ি গ্রামের আক্কেল আলীর পক্ষের লোকজনের সাথে একই গ্রামের মিলন মিয়ার লোকজনের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সেলবরষ মাইজবাড়ি গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে অমি মিয়ার (১৭) সাথে একই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে রিয়াদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে এরই জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেলের আঘাতে রহিমা আক্তার, সুফিয়া বেগম, শাহীন মিয়া, মিলন মিয়া, এখলাছ মিয়া, রিয়াদ মিয়া ও অমিত হাসানসহ কমপক্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় আক্কেল আলীর পক্ষের লোক নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে মো. বাপ্পি মিয়া ও মো. ভোট্টু মিয়াসহ ১২-১৪ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মিলন মিয়ার বাড়ির সামনে থাকা তার মনোহারী দোকানে ও তার বসতঘরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত করেছে বলে মিলন মিয়া দাবি করেন।
এব্যাপারে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এক পক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডেসিমি/ইই