যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২২ ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
সুনামগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আব্দুল্লাহ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ রোববার দুপুরে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন।
সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খায়রুল কবির রুমেন যুগান্তরকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের আব্দুল্লাহর সঙ্গে ২০০৩ সালের ৭ আগস্ট বিয়ে হয় একই গ্রামের শেফালি বেগমের। সংসারে অভাবের কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লাগত।
আব্দুল্লাহ একপর্যায়ে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা দিতে শেফালি বেগমের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করেন। টাকার জন্য প্রায়ই শেফালিকে চাপ দিতেন আব্দুল্লাহ।
একই বছরের ২৭ অক্টোবর আব্দুল্লাহ শেফালি বেগমকে টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তাকে হত্যা করে তার লাশ বাড়ির পাশের একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও আলামত জব্দ করে।
লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে শেফালি বেগমের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আব্দুল্লাহ, তার বাবা খাসিদ আলী ও মা সৈয়দুন্নেসাকে আসামি করা হয়।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আদালত রোববার শেফালি বেগমের স্বামী আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তার বাবা-মাকে খালাস দেন।