সিলেটের যোগিরগাঁও গ্রামে ভয়াবহ নদী ভাঙন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
সিলেট সদর উপজেলার যোগিরগাঁও গ্রামটি ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে রয়েছে। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ওই গ্রামের লোকজন সুরমা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে-মাটি হারাচ্ছে।সুরমার নদীর ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পানি সম্পদমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ইতোমধ্যে ৪টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। নদীগর্ভে চলে গেছে গ্রামের মো. আব্দুর রুফ, মোহম্মদ আজির উদ্দিন বাবুল মিয়া ও আব্দুল আলিমের ঘরবাড়ি।
গ্রামবাসী জানান সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের যোগিরগাঁও গ্রামের এই নদী ভাঙন দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য থাকাকালে সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান, সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী গ্রামের নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিকারের আশ্বাস দিলেও এর স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। সর্বশেষ ২০২০ সালে মোগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হিরন যোগিরগাঁও গ্রামে বেশ কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক নিয়ে মাপ যোগ করলেও তার কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
নদীর পাড়ে হুমকির মুখে থাকা রহিম উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুরমা নদীর এই ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে রূপ দেখছি না।
গ্রামের আজির উদ্দিন বলেন এই কয়েকদিনে এখানে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, নদী ভাঙনে যোগিরগাঁও গ্রামের প্রায় শত পরিবার রাক্ষসী সুরমা নদীর ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এই অবস্থা থেকে রক্ষায় তারা স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে মোগলগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেছার আহমদ বলেন, সুরমা নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলেও পুরো গ্রামটিই নদীগর্ভে বিলুপ্ত হতে পারে। গ্রামের নিকটবর্তী সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ছাড়াও বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ পেট্রলপাম্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।মসূত্র:যুগান্তর