চা-শ্রমিকদের কেউ ভূমিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১:০২ অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিশেষ করে শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাংলাদেশের সব পেশার মানুষ কেউ ভূমিহীন থাকবে না। তেমনি চা-শ্রমিকদের কেউ ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার পর শ্রমিকদের ভোটাধিকার দেন। তার কাজগুলো শেষ করার আগেই ঘাতকের বুলেট প্রাণ কেড়ে নেয়। আমরা জাতির জনকের সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করবো।
তিনি শনিবার বিকেলে চুনারুঘাটের ছন্ডিছড়া চা বাগানে হবিগঞ্জের চা শ্রমিকদের সাথে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন এ উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা পরিষদ প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর।
মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের কথা শুনেন এবং তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান। এ সময় শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলেন চা শ্রমিক শিমু রানী রায়। অনুষ্ঠানে ২৪টি বাগানের চা শ্রমিক, বাগান কর্তৃপক্ষ সহ চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা শুরুর কয়েকঘন্টা আগেই চা শ্রমিকরা চন্ডিছড়া বাগান মাঠে নিজ নিজ বাগানের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে হাজির হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে চাবাগানগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল।
চা শ্রমিক বাসন্তি মুন্ডা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি আমাদের সাথে কথা বলেছেন, আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা অনেক আনন্দিত। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের দুঃখের কথা বলেছি। আশা করি তিনি আমাদের কথা রাখবেন। মালতি বাউরি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে অনেক খুশি হয়েছি। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী সবসময় চা শ্রমিকদের পাশে থাকবে। চা শ্রমিক কাঞ্চন পাত্র বলেন, আমারা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৯দিন আন্দোলন করেছি। আমাদের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। আজ আমাদের সাথে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে আমাদের অনেক ভাল লেগেছে। তিনি আমাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন।