বাহুবলে সুয়েব হত্যা: গ্রেফতার আরো এক
প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৮:৩১ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার শঙ্করপুর প্রকাশিত সাইছা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর পুত্র সুয়েব চৌধুরী (৩২)কে প্রকাশ্যে-দিবালোকে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে শিফন মিয়া (৪৫) নামে আরেকজনকে আটক করেছে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ। আটকৃত শিফন মিয়া খরিয়া গ্রামের মোক্তার হোসেনের পুত্র। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বাহুবল মডেল থানার এআই মো: আবু মোকছেদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গোশাই বাজার থেকে শিপনকে আটক করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে চাচাত ভাই হাছান ও তার ভগ্নিপতি সাহাব উদ্দিন , ফুফাত ভাই মোনশেদ আলীসহ একদল লোক অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে সুয়েবকে ক্ষতবিক্ষত করে ফারুক মিয়ার পুকুরে পালিয়ে যায় । পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাহুবল পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় নিহতর মা রহিমা চৌধুরী বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের শঙ্করপুর প্রকাশিত সাইছা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে তার বিষয়-সম্পত্তি জোরপুর্বক দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল ফুফাতভাই মোনশেদসহ একটি প্রভাবশালী ভুমি খেকো চক্র। ওই চক্রের ভয়ে ও অহেতুক ঝামেলা এড়াতে বাহুবল সদরের হামিদ নগরে বসবাস করে আসছিলেন মৃত কাইয়ুম চৌধুরীর পরিবারের লোকজন। তারপরও সম্প্রতি ওই চক্রের অপতৎপরতা চরম আকার ধারণ করে। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সাইছা গ্রামের নিজ বসতভিটায় যান মৃত কাইয়ুম চৌধুরীর একমাত্র পুত্র আবুল খায়ের চৌধুরী শোয়েব ৷ শোয়েব যখন পুকুরের ঘাটে অজু করছিলেন ঠিক তখনি পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোনশেদসহ হামলাকারীরা দলবদ্ধ হয়ে তার উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়। এ সময় হামলাকারীদের ধারালো দা’য়ের কোপে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শোয়েব। এতেও ক্রান্ত হয়নি নিষ্ঠুরের দল। মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ক্ষত-বিক্ষত শোয়েবকে সাপের মত নির্মমভাবে পেটাতে থাকে ঘাতকেরা। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে জেনে পালিয়ে যায় তারা। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন নিহতের পুরুষশূন্য পরিবার। মামলার বাদী নিহতের মা রহিমা চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, আসামিরা তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানারকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি সরকার ও প্রশাসের কাছে খুনীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই মো: আবুমোকছেদ বলেন, শিফন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এবং হত্যার সময় শিপন খুনিদের সহায়তা করেছে ও সে স্বীকার করছে, অন্যনান্য আসামীদের গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত আসামী শিফনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। এ মামলায় এ পর্যন্ত শিপন মোনশেদসহ দুইজন গ্রেফতার রয়েছেন।