সরকার ওজোন স্তর সুরক্ষায় কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৩:৫০ অপরাহ্ণ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষার স্বার্থে সরকার ওজোন স্তর সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। ওজোন স্তর সুরক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত সব কর্মসূচি ও প্রকল্প সরকার বিশেষ গুরুত্ব সহকারে যথা সময়ে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে চলছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল, জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২২ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এইচসিএফসির ব্যবহার রোধের দিকনির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অতিশিগগিরই কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে। আমি এক্ষেত্রে সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নিনির্বাপণ ও থার্মাল ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত হাইড্রো ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ আউট করার কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে আমরা এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান-২ বাস্তবায়ন করছি। এর বিকল্প প্রযুক্তি একইসঙ্গে ওজোন স্তর ও জলবায়ুবান্ধব হবে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসির ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। রূপান্তরিত এসিগুলো যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় তার প্রতি বিশেষ নজর দেবেন। এতে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বাড়বে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ওডিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।