দক্ষিণ সুরমায় চাকুসহ দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার
প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে রেলস্টেশনগামী লিংক রোডটি এখন আতঙ্কের রাস্তা। এখানে ওঁৎ পেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। সঙ্গে থাকে ধারালো অস্ত্র। সুযোগ পেলেই ছিনতাইকারীরা কেড়ে নেয় পথচারীর সবকিছু। এমনকি প্রাণও কেড়ে নিতে দ্বিধাবোধ করে না ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারীরা।
এমনই দুই ছিনতাইকারীকে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ওই রাস্তা থেকে চাকুসহ ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার খাসারীপাড়া গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে মো. জুবেল (১৯) ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর নয়াবাজার গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে মো. ইমন আহমদ মুন্না (২২)। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ২টি চাকু জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সূএে জানায়, গত রবিবার রাত ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানাপুলিশের একটি দল হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে রেলস্টেশন গামী লিংক রোডের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বীজ ভবন)-এর পিছনের রাস্তা থেকে ছিনতাইকারী জুবেল ও ইমনকে গ্রেফতার করে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ওই রাস্তায় প্রতিদিনই এভাবে অন্ধকারে ওঁৎ পেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। এভাবেই গত ২৪ আগস্ট রাতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামে সীমান্তিক এনজিওর এক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই দিন রাত নয়টার দিকে ওই রাস্তায় আনোয়ার হোসেনকে (৪০) দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনোয়ার সীমান্তিকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার কর্মকর্তা ছিলেন। সিলেটে তিনি প্রশিক্ষণের কাজে এসেছিলেন। আনোয়ার ভোলার শ্যামপুর থানায় তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই মো. বাবুল শিকদার বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৫ আগস্ট বিপ্লবকে আদালতে প্রেরণ করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় সে।