মাধবপুরে ‘বন্দিদশা’ থেকে উদ্ধার করেও বাঁচানো গেলো না ফাহমিদাকে
প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:১০ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুলিশের হস্তক্ষেপে জন্মদাতা পিতা ও সৎ মায়ের নিষ্ঠুরতা থেকে মুক্ত করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ফাহমিদা (১৮) নামে এক কিশোরীর।বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়েছে।লাশ আনার প্রস্তুতি চলছে।কিশোরীর মৃত্যুর জন্য তার জন্মদাতা পিতা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলেও জানান ওসি।
এর আগে বুধবার বিকেলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোয়ার্টার গোমতি বিল্ডিংয়ে স্টাফ আলী আকবরের বাসার একটি কক্ষ থেকে ৫ মাস ধরে অবরুদ্ধ থাকা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। সামান্য জ্বর হওয়ার অজুহাতে ১৮ বছরের ওই কিশোরীকে বিনা চিকিৎসায় একটি কক্ষের ভেতর আটকে রাখা হয়েছিল।
অমানবিকতার এ সংবাদ পেয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও ডা. সাবরিনা সুলতানা ওই বাসায় ছুটে যান। তাঁরা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্স এনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এসময় ডা. সাবরীনা সুলতানা জানান, অনাহার এবং সেবা-শুশ্রূষার অভাবে অসুস্থ কিশোরীর শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, ফাহমিদার বাবা আলী আকবর একাধিক বিয়ে করেছে।ফাহমিদার ব্যাপারে তিনি ছিলেন পুরোপুরি উদাসীন। জ্বরে আক্রান্ত মেয়ে চিকিৎসা করানোর পরিবর্তে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন, সময় মতো তাকে খাবার পর্যন্ত দেয়া হয়নি। অর্ধাহার, অনাহারে থাকা কিশোরীর শারিরীক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে উঠে।