দেশে ফিরলেন ইয়াছমীন: গ্রেফতার দালাল
প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর ২০২২ ৪:৩০ অপরাহ্ণ
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ :সৌদিআরবে রিয়াদে নির্যাতনের শিকার মাধবপুরের গৃহকর্মী ইয়াছমীন দেশে ফিরেছেন। তাকে অসুস্থ অবস্থায় শনিবার (৮অক্টোবর) দুপুরে মাধবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ২ অক্টোবর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেয় মেয়েটির পরিবার। ওই অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণী তিন দিন আগে রিয়াদ থেকে ইমোতে তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, তাঁকে সৌদির রিয়াদে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ নির্যাতন তিনি সহ্য করতে পারছেন না। তাঁকে সেখান থেকে যেন উদ্ধার করে আনা হয়। পরে এ তরুণীর পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেন সৌদিতে পাঠানো দালাল কাশেম মিয়ার সঙ্গে। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী এলাকার বাসিন্দা। কাশেমই ওই তরুণীকে ঢাকার শান ওভারসিসের মাধ্যমে সৌদি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কাশেম এর পর থেকে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে ৫ অক্টোবর গণমাধ্যমে ওই তরুণীকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ।
পরে ৭ অক্টোবর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মেয়েটিকে রিয়াদ থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁকে উদ্ধার করে দেশে পাঠান শুক্রবার রাতে। শুক্রবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে যান। তিনি তাঁদের সঙ্গে বাড়িতে ফেরার সময় দালাল কাশেম মিয়াসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিমানবন্দর পুলিশের সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পান। মেয়েটির বাবা জানান, তাঁকে সৌদিতে এক সপ্তাহ একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। যে কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। যে কারণে তাঁর মেয়েকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে দালাল কাসেমকে চুনারুঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা নির্যাতনের শিকার ইয়াছমীনের পিতা াে: কুদ্দুছ মিয়া মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ । এ বিষয়ে বিমানবন্দর থেকে ওই তরুণীকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত দালাল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অপহরণ নয়, তিনি এ মেয়েকে তাঁর সঙ্গে করে মাধবপুর নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। আরও চেয়েছিলেন ওই মেয়েকে সঙ্গে করে এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বুঝিয়ে দিতে। কারণ, তাঁকে (কাশেম) নানাভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে অযথাই। তিনি দাবি করেন, মেয়েটিকে তিনিই সৌদি আরব থেকে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছেন।