ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় ১১৮ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৪ অপরাহ্ণ
তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৭৬ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি)।
এএফএডি বলেছে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আনাদোলু নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- কাহরামানমারাস, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়াবাকির, আদানা, আদিয়ামান, মালত্যা, ওসমানিয়ে, হাতায় ও কিলিসকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে এএফএডি।
প্রতিবেদনে আরও ৪৪০ জনের আহত হওয়ার খবর উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, একই ভূমিকম্পে আলেপ্পো, হামা ও লাতাকিয়া প্রদেশে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সানা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছে।
অর্থাৎ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের এই ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক।
ভূমিকম্পের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক টুইটারে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। ’
‘আশা করি খুব দ্রুত কম ক্ষতিসহ একসঙ্গে এই বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠব’ তিনি লিখেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, অন্তত ছয়টি আফটারশক হয়েছে। ঝুঁকির কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে বাসিন্দাদের প্রবেশ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনা। একইসঙ্গে আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা। ’
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, রিপোর্ট আসছে যে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারে।