নবীগঞ্জে থামছে না কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন
প্রকাশিত : ০২ মে ২০২৩ ৭:২৬ অপরাহ্ণ
নবীগঞ্জে প্রভাবশালীদের হাত থেকে নদী রক্ষা করবে কে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলাবাসীর মনে। অবৈধভাবে দিনের পর দিন কুশিয়ারা নৌদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু । নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের লঙ্কাকান্ড দেখা যায়। শ্রমিকরা কুদাল দিয়ে নদীর পাড় খনন করে বালু তুলে আসছেন। কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন কসবা গ্রামের দিলবার , সুহেল , রাসেল , রাসেম গংরা ,দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করে রাত ৮ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ট্রাক প্রতি ৭ হাজার টাকা ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয় , যার ফলে বর্ষা মৌসুম আসলে নদীর দুপাড় ভেঙে গিয়ে তীরবর্তী বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়। নদীর পাড় সংরক্ষণ করতে ব্যয় হয় সরকারের কোটি কোটি টাকা। বালু উত্তোলনে কাজ করতে আসা নাম প্রকাশে অচ্ছিুক এক শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে জনপ্রতি ৬শ টাকা দেওয়া হয় সেইজন্য আমরা বালু উত্তোলনে কাজ করতে এসেছি।বালু উত্তোলন করতে কে কাজ করাচ্ছেন জানতে চাইলে শ্রমিক বলেন, কসবা গ্রামের দিলবার, সুহেল ,রাসেল মিয়া, রাসেম মিয়ার মাধ্যমে কাজ করতে এসেছি , এই শ্রমিক আরও বলেন দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে বালু বিক্রি না করে রাত ৮ থেকে ভোর ৯ টা পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ টি ট্রাক গাড়ি দিয়ে সারারাত বালু বিক্রি করা হয়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন , ইনাতগঞ্জে ভূমি অফিস রয়েছে অথচ কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বালু উত্তোলন কারী সুনাম মিয়াকে ফোনে দিলে ফোন দিলে তিনি বলেন বালু উত্তোলন করছি বলে ফোন কেটে দেয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) শাহিন দেলোয়ার বলেন, অবৈধভাবে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন কারিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।