সুনামগঞ্জে এক নারীসহ চার জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৩ ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে এক নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছাতক উপজেলায় ২জন,দোয়ারা বাজার উপজেলায় ১জন ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১ জন। প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা চিকিৎসকদের।
বুধবার(১০ই মে)জেলার তিনটি উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন,জেলার ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সাদারাই গ্রামের মৃত শামসুল হকের পুত্র মঞ্জুর আহমদ (৪০),একেই উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামে তেরাব আলী পুত্র হাসনাত মিয়া (৪৫),দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন (৬৫) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগা পাশা ইউনিয়নের দরগা পাশা গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৬০)। তাদের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে ধারনা চিকিৎসকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,জেলা ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সাদারাই গ্রামের মৃত শামসুল হকের পুত্র মঞ্জুর আহমদ (৪০) প্রচন্ড গরমের মধ্যেই হাওরে ধান কাটা ছিলেন। এ সময় প্রচন্ড গরমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পাশে থাকা সহযোগীরা তাকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ভাবে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামে তেরাব আলী পুত্র হাসনাত মিয়া (৪৫) ক্ষেতে কাজ করে বাড়িতে এসে শরীর খারাপ লাগছে বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় পরিবারের লোকজন তাকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন (৬৫) হাওরে ক্ষেতের কাজ করা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগা পাশা ইউনিয়নের দরগা পাশা গ্রামের নূর আলমের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৬০)খলায় ধান শুকানোর কাজ করছিলে। এসময় হঠাৎ করে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব চক্রবর্তী ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আইনুর নাহার শান্তা জানান,ছাতকের সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমেদ স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ,অষ্টম ও একাদশ শ্রেণির তিনজন ছাত্রী প্রচন্ড গরমে ক্লাস অজ্ঞান হয়ে পড়ায় তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়াও দুজনকে নিয়ে এসেছিল তারা মারা গেছেন।
সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শোকদেব সাহা জানানসুনামগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই। তবে চারজনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকেই হয়েছে কি না সেটা বলা যাবে না। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে না।