মিধিলির প্রভাবে মৌলভীবাজারে আমন ধান-শীতকালীন সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিনভর টানা বৃষ্টিপাতে মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলার কৃষিজমিতে পাকা ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া প্রভাব পড়েছে হাওর এবং চা জনগোষ্ঠী এলাকার মানুষের জনজীবনে। শুক্রবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজি ও বীজতলায়।
জেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, শিম, ধনেপাতা ও টমেটোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে শুক্রবার জেলা শহরে দেখা মেলেনি রিকশা ও টমটমের। ফলে জেলার উপজেলাগুলো থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। অনেককে বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পৌঁছতে দেখা গেছে।
রুপসপুর এলাকার রিকশাচালক ওসমান মিয়া বলেন, ‘আমি দিনে যা আয় করি তা দিয়ে পরিবার চালাই। বৃষ্টির মধ্যেও বের হতে পারি নাই। বৃষ্টির কারণে রিকশা নিয়ে বের হলেও শহরে তেমন রুজি হয়নি।’
একই কথা জানান ভ্যানচালক আলী মিয়া। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেও ভ্যান নিয়ে বের হয়েছিলাম। একবারে রোজগার হয়নি।’
আশিদ্রোন এলাকার কৃষক শাকির মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টি ও ভারি বাতাসে পাকা ধান তলিয়ে গেছে। কিছু জায়গায় নিচু জমিতে পাকা ধান ডুবে আছে। একই সঙ্গে শীতকালীন শাক-সবজিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
হাওর রক্ষা সংগ্রাম কমিটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজন আহমদ বলেন, ‘গত শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে আমন ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হাওর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি একটু বেশি।’
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এ বছর মৌলভীবাজারে ১ লাখ ২ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ধান সম্পূর্ণ পাকতে আরও দু’সপ্তাহ লাগবে। তবে আগাম জাতের অনেক ধান কাটা হয়ে গেছে। এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় শীতকালীন সবজিও চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আমনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাকা আমন ধান পানিতে ডুবে আছে। এছাড়া শীতকালীন সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কত হেক্টর জমিতে আমন এবং শীতকালীন সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করি দু-এক দিনের মধ্যে তথ্য নিরূপণ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব।’